
জিনিয়াস টিভি ধর্মীয় ডেক্স,
সূরা আল – লাহাবের আরবি,বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ,ফজিলত ও গুরুত্ব নিম্নে প্রদত্ত হলো:-
[ক](১),সূরার নাম : লাহাব,
(২),শ্রেণী : মাক্কী সূরা (মক্কায় অবতীর্ণ),
৩/-অন্য নাম : আল মাসাদ,
৪/-নামের অর্থ : অগ্নিশিখা, স্ফুলিঙ্গ,
৫/-সূরার ক্রম : ১১১,
৬/-আয়াতের সংখ্যা : ৫,
৭/-রুকুর সংখ্যা : ১,
৮/-পারার ক্রম : ৩০ পারা,
৯/-শব্দ : ২৯,
১০/,বর্ণ : ৮১,
১১/-পূর্ববর্তী সূরা:-
সূরা নাসর ও
১২/পরবর্তী সূরা:-
সূরা ইখলাস।
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ(খ)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি),
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ(১)
তাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাবিওঁ ওয়াতাব্বা,
ধ্বংস হোক আবু লহবের উভয় হাত, আর সে-ও ধ্বংস হোক!
مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ(২)
মা আগনা আনহু মালুহু ওয়ামা কাছাব,
তার ধন-সম্পদ ও যা সে অর্জন করেছে তা তার কোনো কাজে আসবে না।
سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ(৩)
সাইয়াছলা না রান যা তালাহাবিওঁ,
তাকে অচিরেই ঠেলে দেওয়া হবে লেলিহান আগুনে
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ(৪)
ওয়ামরাআতুহু, হাম্মা লাতাল হাত্বোয়াব,
এবং তার স্ত্রীকেও; যে ইন্ধন বহনকারিণী।
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِنْ مَسَدٍ (৫)
ফী-জী-দিহা হাবলুম মিম মাসাদ,
তার গলায় থাকবে কড়াপাকের খেজুরের আঁশের রশি।
(গ)বিশেষ আলোচনা:-
আবু লাহাবের আসল নাম ছিল আবদুল ওয্যা। সে ছিল আবদুল মোত্তালিবের অন্যতম সন্তান। গৌরবর্ণের কারণে তার ডাক নাম হয়ে যায় আবু লাহাব। কোরআন পাক তার আসল নাম বর্জন করেছে। কারণ সেটা মুশরিকসুলভ। এছাড়া “আবু লাহাব” ডাক নামের মধ্যে জাহান্নামের সাথে বেশ মিলও রয়েছে। সে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) – এর কট্টর শত্রু ও ইসলামের ঘোর বিরোধী ছিল এবং রসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে কষ্ট দেয়ার প্রয়াস পেত। তিনি যখন মানুষকে ঈমানের দাওয়াত দিতেন, তখন সে সাথে সাথে যেয়ে তাকে মিথ্যাবাদী বলে প্রচার করত।
(ঘ)শানে নুযুলঃ
সহীহ বুখারীতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করিম (সঃ) বাতহা নামক স্থানে গিয়ে একটি পাহাড়ের উপর আরোহন করলেন এবং উচ্চস্বরে, “ইয়া সাবা’হা’হ ইয়া সাবা’হা” ( অর্থাৎ হে ভোরের বিপদ, হে ভোরের বিপদ) বলে ডাক দিতে শুরু করলেন। অল্পক্ষণের মধ্যে সমস্ত কুরাইশ নেতা সমাবেত হলো। তখন রাসূল (সঃ) বললেন, “যদি আমি তোমাদেরকে বলি যে, সকালে অথবা সন্ধ্যাবেলায় শত্রুরা তোমাদের উপর আক্রমণ চালাবে তবে কি তোমরা আমার কথায় বিশ্বাস করবে?”
তখন সমস্বরে বলে উঠলো, “হাঁ হাঁ অবশ্যই বিশ্বাস করবো”। তখন তিনি তাদেরকে বললেন, “শোনো, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর ভয়াবহ শাস্তির আগমনের সংবাদ দিচ্ছ”। তখন আবু লাহাব একথা শুনে বললো, “তোমার সর্বনাশ হোক, এ কথা বলার জন্যই কি তুমি আমাদেরকে সমবেত করেছো”? তখন আল্লাহ তায়ালা এ সূরাটি নাযিল করেন।